বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের আরো সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এজন্য বাংলাদেশে শিল কারখানা তৈরি ও অর্থনীতিতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন তাঁর জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের রূপান্তরে সহযোগিতা করে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীন সফরে সিজিটিএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাফল্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, চীন তার জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের রূপান্তরে সহযোগিতা করে যাবে।
বাংলাদেশ-চীনের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব আরও গভীর করতে তিনি সাংস্কৃতি ও ভাষা শেখার গুরুত্ব দেন। এজন্য বাংলাদেশে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার প্রস্তাবও দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে আছে বাংলাদেশ, এ জন্য দেশকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শান্তিই একমাত্র সমাধান, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধের কোনো প্রয়োজন নেই।
এসময় তিনি বলেন, তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়। সেদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা অনেক উন্নত। এমন উন্নত সেবা দেশের মানুষও পেতে চায় বলেও মনে করেন তিনি।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে ২৬ থেকে ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (ইঋঅ) ২০২৫-এর বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন ইউনূস। এরপর তিনি বেইজিং সফর করেন—যা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম সফর এই শহরে। সেসময় এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়। যেটি শনিবার (০৫ এপ্রিল) প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।